যখন আমি শিশু ক্লাশে পড়াশুনা করছিলাম তখন আমার শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষিকা সিস্টার মেরী পলিন, এসএমআরএ, উনার মুখে শুনেছিলাম একজন আছেন যিনি সব কিছু দেখেন। এর পর তিনি বোর্ডে একটি ত্রিভুজ অঙ্কণ করে তার ভিতরে একটি চোখ দিয়ে দিতেন এবং এর দ্বারা তিনি বুঝাতে চাইতেন যে তিন ব্যক্তিতে এক ঈশ^র, এক ঈশ^রে আবার তিন ব্যক্তি। আমাদের তিনি এভাবেই ঈশ্বর সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা প্রদান করতেন। তার মুখেই প্রথম শুনেছিলাম যে ঈশ্বর সব জায়গাতে আছেন, আমাদের সবাইকে ভালবাসেন এবং তিনি সবার সব কিছু জানেন ও দেখে থাকেন। এমন কি মানুষের মনের গোপন কথাগুলিও তার সব জানা আছে। ঈশ্বর সম্বন্ধে আমার সেই যে শিশু মনে দাগ কেটেছে এবং জ্ঞান হয়েছে তা আজও অমলিন রয়েছে। আর এতকাল পর বাস্তবেই যে তা প্রত্যক্ষ করলাম। অভিজ্ঞতা করলাম যে করুণাময় ঈশ^র মানুষের ছোট বড় সকল ভাল কাজেরই হিসাব রাখেন এবং সময় মত তিনি মানুষকে অবশ্যই পুরস্কৃত করেন। এমন কি তিনি যে তাঁর একমাত্র পুত্রকেও একই ভাবে পুরস্কৃত করেছেন তা আমরা সবাই জানি। তবুও আসুন আমরা পবিত্র বাইবেল হতে তা দেখিÑ
সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যখন তাঁর সুগভীর দৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পারলেন যে মানব জাতি যাকে তিনি সৃষ্টির সেরা করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তারা পাপে নিমজ্জিত এবং তাঁর কাছ হতে বহু দূরে চলে গিয়েছে, মূর্তি পূজা করছে, নানা বিধ উশৃংখল কাজে মেতে উঠেছে এবং বিপথগামী হচ্ছে তখন তিনি তাদেরকে পুনরুদ্ধার করার জন্য তাঁর একমাত্র পুত্রকে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন সেই বেৎলেহেমের গোয়ালঘরে, মারীয়ার গর্ভে। অত:পর তিনি ধীরে ধীরে জ্ঞানে ও বয়সে বেড়ে উঠেছিলেন এবং অসহায়, দরিদ্র, নির্যাতিত, নিপীড়িত, অন্ধ, যত খঞ্জ, কানা-খোড়াদের ভালোর জন্যে কাজ করেছেন। আবার তিনি মৃত বালিকাকে জীবন দিয়েছেন, কুষ্ঠরোগীদেরকে সুস্থ করেছেন। তিনি পরম পিতার বাধ্য হয়ে স্বর্গসুখ ছেড়ে মর্তে এই ধূলির ধরায় নেমে এসেছেন। “ তিনি তো স্বরূপে ঈশ্বর হয়েও ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর সমতুল্যতাকে আঁকড়ে থাকতে চাইলেন না ; বরং নিজেকে তিনি রিক্ত করলেন ; দাসের স্বরূপ গ্রহণ করে তিনি মানুষের মতো মানুষ হয়েই জন্ম নিলেন। আকারে প্রকারে মানুষের মতো হয়ে তিনি নিজেকে আরও নমিত করলেন ; চরম আনুগত্য দেখিয়ে তিনি মৃত্যু, এমন কি ক্রুশীয় মৃত্যু মেনে নিলেন। তাই ঈশ্বর তাঁকে সব কিছুর ওপরে উন্নীত করলেন, তাঁকে দিলেন সেই নাম, সকল নামের শ্রেষ্ঠ যে নাম, যেন যীশুর নামে আনত হয় প্রতিটি জানুÑ স্বর্গে, মর্তে ও পাতালেÑপ্রতিটি জিহ্বা যেন এই সত্য ঘোষণা করে : যীশু-খ্রীষ্ট স্বয়ং প্রভু, আর এতেই যেন প্রকাশিত হয় পিতা ঈশ্বরের মহিমা, (ফিলিপ্পীয় ২:৬-১১)।”
আমরা দেখি যে যুগ যুগ ধরে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বিভিন্ন ব্যক্তিকে পাঠান তাঁর ভক্তজনগণের মধ্যে যারা বেশী দু:খী, দরিদ্র, অসহায় ও নির্যাতীত তাদের সুরক্ষা দানের জন্য। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা সংগ্রামের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুন:গঠন করার জরুরী প্রয়োজন হয়ে পরে, বিশেষভাবে প্রয়োজন হয় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অবহেলিত, প্রান্তিক নারীগোষ্ঠীর জন্য পুনর্বাসনের, যারা যুদ্ধের সময় ধর্ষিতা হয়েছিলেন তাদের জন্যও। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের কাথলিক বিশপ সম্মিলনী জনগণকে অর্থনৈতিক দরিদ্রতা থেকে মুক্ত করার জন্য উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন্ এবং “কোর দি জুট ওয়ার্কস” কর্মসূচী শুরু করেন। এতে এসএমআরএ সিস্টারদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই প্রৈরিতিক কাজে সিস্টার মেরী লিলিয়ানকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল এবং সেই সময় থেকেই তিনি “কোর দি জুট ওয়ার্কস” কর্মসূচীর অধীনে খ্রিস্টান, মুসলিম, হিন্দু নিবির্শেষে হতদরিদ্র নারীদের সর্বান্তকরণে সেবা করে আসছেন। আমরা তার অবদানের কথা আজ বলে শেষ করতে পারবো না। তবুও কিছু একটু যে উল্লেখ না করলেই নয়।
সিস্টার লিলিয়ানের জন্ম হয়েছিল পাদ্রীশিবপুর ধর্মপল্লীতে ১৬ অক্টোবর, ১৯৩০ খ্রিস্ট বর্ষে। তার স্বর্গীয় পিতামাতা হলেনÑ রামুয়েল গমেজ ও এমিলিয়া গমেজ। সময়ের পূর্ণতায় অর্থাৎ এসএসসি পাশ করার পর তিনি এ দেশীয় সংঘে প্রবেশ করেন। অতপর সিস্টার হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আশ্রমে অবস্থান কালে গ্রাম্য অঞ্চলের লোকদেরকে তিনি ধর্ম শিক্ষা প্রদান করতেন এবং ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লীতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পাঠদান করতেন। যেমন- তিনি কাজ করেছেন রাঙ্গামাটিয়া, পানজোরা, নাগরী ও তুমিলিয়া ধর্মপল্লীতে। এরই মধ্যে তিনি ইতালী ও ফিলিপাইনে হস্তশিল্পের উপর সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণও লাভ করেছেন। সংঘ কর্ত্রীর মাধ্যমে এই সিস্টার লিলিয়ানকেই ঈশ্বর ভালবেসে তাঁর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মনোনীত করেছেন। আর তিনি হলেন একজন ঈশ্বরভক্তা ও প্রার্থনার মানুষ এবং সহজ সরল জীবন যাপন তার। তিনিও যে তার অন্তর অনুপ্রেরণায় অনুভব করেন অসহায়, দু:খী মানুষের কষ্ট। তাদের নীরব কান্না, দুরবস্থা তাকে বিশেষভাবে নাড়া দেয়। আর তাইতো তিনি সেই ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে এসেছেন এবং আজ অবধি সুদীর্ঘ ৫২ বৎসর ধরে ‘কোর দি জোট ওয়ার্কস’Ñ এর অধীনে ‘জাগরণী হস্তশিল্প’ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এই দরিদ্র প্রতিবন্দী মেয়ে, বিধবা ও হতদরিদ্র মানুষদের সেবাদান কার্যে নিয়োজিত রয়েছেন। দরিদ্র অসহায়দের প্রতি তার সুন্দর ও আনন্দময় সেবাদানের জন্য আমরা তার সাধুবাদ করি।

এ কাজে আমরা তার সাফল্যের দিকগুলি দেখি যেÑ তিনি হতদরিদ্র নারীদের খুঁজে বের করার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেরিয়েছেন এবং ধীরে ধীরে সিস্টার ৩০০০ নারীকে এই কর্মসূচীতে যুক্ত করতে পেরেছিলেন। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল এবং তারা তাদের উৎপাদিত পন্য বিক্রি করে সামান্য কিছু আয় করতে পেরেছিলেন। সিস্টার তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং এভাবে তারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছিলেন। ভূমিহীনেরা জমি কিনে চাষাবাদ শুরু করেছিল : তাদের সন্তানদেরকে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। এভাবেই তারা তাদের ঋণ থেকে মুক্ত হতে পেরেছিলেন এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছিলেন। গৃহহীন নারীরা, বিদ্যালয় ছেড়ে দেয়া অশিক্ষিত মেয়েরা, প্রতিবন্দী মেয়েরা ও বিধবারা মূলত : সুবিধাভোগী ছিলেন। বর্তমানে তাদের অধিকাংশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বচ্ছল এবং তারা সুখী পারিবারীক জীবন যাপন করছেন। যে সব পরিবারে তিনি তার যৌবন কাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সেবা রত রয়েছেন সেই সব পরিবার হতে অনেক ছেলেমেয়ে আজ প্রভুর ডাকে সাড়াদান করে ঐশরাজ্য প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেদের জীবন সমর্পণ করেছেন। অনেকেই ফাদার, ব্রাদার ও সিস্টার হয়ে মন্ডলীতে তারা আনন্দপূর্ণ মনে সেবদান করছেন। তাই দেখি সিস্টার শুধু এই দরিদ্র পরিবারগুলির আর্থিক সমস্যাই দূর করেননি বরং তিনি প্রতিটি পরিবারের আধ্যাত্মিক যতœও নিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিবারে সিস্টার লিলিয়ানের উপস্থিতিই যে এই হতভাগা পথ হারানো অসহায় মানুষদের কাছে আনন্দের উৎস ও আশার আলো স্বরূপ হতো তা সত্য। তাই সকল অভাবী ভাইবোনদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরা সিস্টারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
এই কাজ বাংলাদেশ মন্ডলীর জন্য এক বিশেস পালকীয় সেবাকাজ যা তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে করে আসছেন আমাদের এই প্রেরিত গনের রাণী মারীয়ার সঙ্গিনী সংঘের (ল্যাটিনথ - ঝড়পরধব গধৎরধব জবমরহধব অঢ়ড়ংঃড়ষড়ৎঁস) সংক্ষেপে এসএমআরএ সংঘের মধ্য দিয়ে। তার এই উদার সেবাকাজের মধ্য দিয়ে আমাদের দরিদ্র নারী সমাজ কর্মসংস্থান লাভ করেছে, তাদের মধ্যে কর্মস্পৃহা জেগে উঠেছে। তারা ঐক্য বদ্ধ হয়ে সময়ের সদ্ব্যবহার করে অর্থ উপার্যন করতে শিখেছে। আর এতে করে নারীর ক্ষমতায়নও অনেকটা বৃদ্ধি লাভ করেছে। আমাদের স্থানীয় মন্ডলীর পালকীয় প্রয়োজন এবং আমাদের সংঘের যে বৈশিষ্ট্য তাও আজ পূর্ণতা লাভ করছে। তাই সর্বজান্তা ঈশ^র তার প্রতিটি মহৎ কাজের মূল্য দিয়েছেন। তিনি খুশী হয়ে তাকে তার প্রতিটি ভাল কাজের জন্য আজ পুরস্কৃত করেছেন।
আনন্দ ভাগ করলে নাকি তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথেই বলছি যে দরিদ্র নারীগোষ্ঠী, বিশেষভাবে যারা বিধবা, বোবা, বধির ও পঙ্গু তাদের প্রতি সিস্টার মেরী লিলিয়ানের আন্তরিক সেবা ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ খ্রিস্ট বর্ষে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের ক্যাথিড্রালে পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের দেয়া বিশেষ সম্মাননা, তাঁরই প্রতিনিধি মহামান্য জর্জ কোচেরী তুলে দিচ্ছেনÑ আমাদের অতিপ্রিয় এসএমআরএ সিস্টার লিলিয়ান এর হাতে। ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ এবং আমাদের এসএমআরএ সংঘ এতে সত্যিই অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা তার সার্বিক ম্গংল, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। 

অতপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ খ্রিস্ট বর্ষে এসএমআরএ সংঘে, মেরী হাউজ, জেনারেলেটে বিভিন্ন কনভেন্ট থেকে আসা সুপিরিওরদের উপস্থিতিতে, শ্রদ্ধেয়া সিস্টার লিলিয়ানকে উষ্ণ অভিনন্দন ও অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। বর্তমানে সিস্টার লিলিয়ান “কোর দ্যি জুট ওয়ার্কস” -এর একজন আজীবন সদস্য, যে সংস্থাটি গ্রমের নারীদের দ্বারা পরিচালিত কুটির শিল্পের হস্তশিল্প বিক্রি করে থাকেল । সংস্থাটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা দু’বার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এর অনেকটা কৃতিত্বই প্রাপ্য এই আমাদের সিস্টার লিলিয়ানের।

অতপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ খ্রিস্ট বর্ষে এসএমআরএ সংঘে, মেরী হাউজ, জেনারেলেটে বিভিন্ন কনভেন্ট থেকে আসা সুপিরিওরদের উপস্থিতিতে, শ্রদ্ধেয়া সিস্টার লিলিয়ানকে উষ্ণ অভিনন্দন ও অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। বর্তমানে সিস্টার লিলিয়ান “কোর দ্যি জুট ওয়ার্কস” -এর একজন আজীবন সদস্য, যে সংস্থাটি গ্রমের নারীদের দ্বারা পরিচালিত কুটির শিল্পের হতিনি কোর দ্যি জুট ওয়ার্কস - এর ‘মা’ হিসাবে খ্যাত। কেননা তিনি বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের হাজার নারীদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। তিনি বর্তমানে ৯০ বৎসর বয়স্কা এবং তাকে এখনো বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাসি মুখে কাজ করতে দেখা যায়। ঈশ^র তার এই সেবা দাসীর মধ্য দিয়ে তাঁর মহৎ কার্য সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। তাই আমরা পরম পিতার ধন্যবাদ ও প্রশংসা করি।
শেষে জর্জ হারবার্ট এর একটি উক্তি দিয়ে শেষ করিÑ তিনি বলেন “কাজের স্বীকৃতি না পেলে কাজ করে আনন্দ পাওয়া যায় না”। জীবনের শেষ দিকে হলেও তিনি যে এই মহা সম্মাননা লাভ করেছেন, তার ভাল কাজের স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন, তা সিস্টারকে অনেক আনন্দ দান করেছে। তিনি ঈশ^রের কাছে এবং সংঘ মাতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আজ আমাদের জন্য সত্যিই এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যা সেই বেৎলেহেমের তারার মত করে আমাদের সবাইকে পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের সকল ভগ্নীদের জন্যও এক জ¦লন্ত আদর্শ স্বরূপা হয়ে থাক। আমার দৃষ্টিতে তিনি জীবনভর অসহায় হতদরিদ্র ভাইবোনদের সেবাদান করে এটাই প্রমান করে যাচ্ছেন যে Ñ
“আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে, (কামিনী রায়)।”
স্তশিল্প বিক্রি করে থাকেল । সংস্থাটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা দু’বার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এর অনেকটা কৃতিত্বই প্রাপ্য এই আমাদের সিস্টার লিলিয়ানের।