Our Vocation

We are the SMRA Congregation.​ To became a SMRA Sister we have to follow some steps. As these are Aspirenci, Postolanci, Noviciate and than we become a Nun/Sister by make three vows, like Obedience, Poverty, and Chistity.  

ক্ষুদ্র পুষ্প প্রার্থী গৃহ
মেরী হাউজ, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫

এসএমআরএ পরিবারের জন্ম হয় ১৯৩৩ খ্রিস্টবর্ষে, সেন্ট মেরীস কনভেন্ট, তুমিলিয়াতে। তাই এটাই হল আমাদের মাতৃগৃহে। প্রথমত মাত্র সাতজন মেয়ে নিয়ে মহামান্য বিশপ তিমথি জন ক্রাউলী, সিএসসি এবং তাঁর সহকারী হিসেবে শ্রদ্ধেয়া সিস্টার রোজ বার্নার্ড, সিএসসি এই ধর্ম সংঘের সূচনা দান করেন। সেই থেকে অদ্যাবধী এই এই সম্প্রদায়ে অনেক মেয়েরাই এসেছে। তারা অনেকেই “এসো দেখে যাও” প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে এবং এখনো ঠিক এভাবেই চলছে। কেউ কেউ তাদের আহŸান বুঝতে পেরে সংঘে যোগদানের মাধ্যমে নিজেদের জীবন ঈশ্বরের চরণে নিবেদনের করে ঐশরাজ্য বিস্তারের কাজ করে যাচ্ছেন । কেইবা আবার ফিরে গিয়ে সংসার জীবনে প্রবেশ করছে, কেউ বা আবার সমাজ সেবী হচ্ছে। নি¤েœ বর্তমানে আমাদের আহŸান ও গঠনের প্রাথমিক পর্যায়টি যেভাবে চলমান রয়েছে তা কিছুটা তুলে ধরা হল :-

মেরী হাউজ আশ্রমের ক্রাউলী ভবনের ৪র্থ তলায় অবস্থিত ক্ষুদ্র পুষ্প প্রার্থীগৃহের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ খ্রিষ্টবর্ষে। পরে ২০১৪ খ্রিষ্টবর্ষে ‘ক্ষুদ্র পুষ্প প্রার্থী গৃহ’ হিসেবে এর নামকরণ করা হয়। বর্তমানে এই প্রার্থীগৃহে ১৪ জন প্রার্থী বোন অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত অর্থাৎ, সাঁওতাল, গারো, ত্রিপুরা, খাসিয়া ইত্যাদি।
প্রেরিতগণের রাণী মারীয়ার সঙ্গিনী সংঘের প্রাথমিক গঠন কার্যক্রমের নির্ধারিত মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রার্থীদের নিয়ে ব্যক্তিগত ও সমবেতভাবে নিয়মিত যাত্রা করার মাধ্যমে প্রার্থীদেরকে প্রস্তুত করে তোলা হয়। সংঘের ও গঠন কার্যক্রমের ধারাকে একত্রে নিজ জীবনে গ্রহণ করার মাধ্যমে একজন প্রার্থী প্রস্তুত হয় পরবর্তী ধাপে পদার্পণের জন্য।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: প্রার্থীকালে গঠনের লক্ষ্য হল :
ক্স প্রার্থীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন করে সংঘের জীবন প্রণালীতে অভ্যস্থ ও একাত্ম হতে তাদের সাহায্য করা এবং পরবর্তী ধাপে পদার্পণের জন্য যোগ্যরূপে নিজেকে প্রস্তুত করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে দিকনির্দেশনা দেওয়া।
ক্স মঙ্গলসমাচারের প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, ঈশ^রের নিকট আত্মোৎসর্গের মনোভাব যাচাই করা এবং প্রতিবেশীর সেবায় জীবন নিবেদনের আগ্রহ বৃদ্ধিতে সক্ষম করা।
ক্স প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা সম্পন্ন করার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে খ্রিষ্টের কাছে নিবেদনের যোগ্য করে তোলার সাধনা করা।
ক্স আশ্রমের ছোট বড় বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা দানের পাশাপাশি নানা রকম আনন্দ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে গুণের বিকাশ সাধন করা।
ক্স মানবীয়, আধ্যাত্মিক, বুদ্ধিগত, ব্রতীয়, পালকীয় ও সংঘবদ্ধ জীবনের গুরুত্ব বুঝে তাতে বৃদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে শিক্ষা লাভ করা এবং ঈশ^রকে খোঁজার ও অপরের সেবায় জীবন নিবেদনের আগ্রহ বৃদ্ধি করা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের উপায়:
ক্স প্রতি মাসে প্রার্থীদের সাথে ব্যক্তিগত ও সমবেত আলাপ আলোচনা করে তাদের উন্নতি-অগ্রগতি বিবেচনা সাপেক্ষে ব্যক্তিগত ও সমবেত অনুশীলনীর ব্যবস্থা।
ক্স আধ্যাত্মিক গঠন লাভে নিয়মিতভাবে খ্রিষ্টযাগে অংশগ্রহণ, ব্যক্তিগত ও সমবেত প্রার্থনা (রোজারী মালা, ঐশ করুণার মালা প্রার্থনা), ক্রুশের পথ, সপ্তাহে একদিন সাক্রামেন্তীয় আরাধনা, বাইবেল সহভাগিতা, প্রতি ২ মাস অন্তর নির্জন সাধনা, পাপস্বীকার, প্রার্থীদের মঙ্গলার্থে আলাদাভাবে খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ, সমবেত কমিউনিটি রিভিউ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে তাদের আধ্যাত্মিক সাধনায় বৃদ্ধিলাভে সহায়তা।
ক্স প্রতিদিন আশ্রম সেবার মধ্য দিয়ে প্রেরণকাজে তৎপরতা লাভ করা যেমন- রুটি বানানো, সবজি কাটা, বাগান করা ইত্যাদি।
ক্স মানসিক গুণাবলী বৃদ্ধিতে বিভিন্ন বই পড়ার পাশাপাশি সেলাই, আর্ট-পেইন্টিং, কার্ড তৈরী, বুলেটিন বোর্ড সাজানো, গান-বাজনা প্র্যাকটিস, গীর্জায়-চ্যাপিলে গান পরিচালনা করার ব্যবস্থা ইত্যাদি।
ক্স শারীরিক সুস্থতা ও পারস্পারিক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নিয়মিত -খেলাধুলা করা, বটমলী হোমের মেয়েদের সাথে সপ্তাহে একদিন সময় কাটানো ইত্যাদি কাজের মধ্য দিয়ে তাদের সাধনাকে দৃঢ় ও অব্যাহত রাখার প্রেরণা ও সুযোগ দান করা।

ইত্যাদি কার্যক্রম গুলোর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি গঠিত হচ্ছে, সংঘের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূরণে অর্থাৎ মন্ডলীর প্রয়োজনে যুযোপযোগী সাড়া দিতে তৎপর হচ্ছে।

খ) প্রাথমিক গঠন কার্যক্রমের ইতিবাচক দিকসমূহ:
ক্ষুদ্র পুষ্প প্রার্থী গৃহে অবস্থান করে প্রার্থী বোনেরা পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের দৈনিক কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণের ফলে ধীরে ধীরে মানবীয় জীবনে গঠন, আধ্যাত্মিক গঠন, বুদ্ধিগত গঠন, পালকীয় গঠন, সংঘবদ্ধ জীবনে গঠন লাভ করছে। আর যেহেতু এই প্রার্থীগৃহ মেরী হাউজ কমিউনিটির সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত সেহেতু সেখানেই তাদের শিক্ষার চর্চা তারা করতে পারছে। যে সকল ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে তা নি¤েœ তুলে ধরা হল:
ক্স মেরী হাউজে অবস্থান করার ফলে একজন প্রার্থী সংঘের সর্বস্তরের সিস্টারদের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পাচ্ছে। গঠন কার্যক্রম ছাড়াও হাউজের সাথে নিয়মিত কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণের ফলে তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধের জন্ম হচ্ছে।
ক্স আধ্যাত্মিক অনুশীলনগুলোতে কমিউনিটির সাথে একাত্মতার ফলে আধ্যাত্মিক সৃজনশীলতা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে।
ক্স কমিউনিটির বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণের ফলে তাদের মধ্যে কায়িক শ্রমের মনমানসিকতা তৈরী হচ্ছে। বিভিন্ন গুণাবলীর অনুশীলন তারা সিস্টারদেরকে দেখে শিখতে পারছে।
ক্স বড় কমিউনিটিতে থাকার ফলে একে অপরের প্রতি অর্থাৎ ছোট-বড় সকল সিস্টারদের প্রতি আন্তরিকতা, দরদ-ভালবাসায় তারা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্স বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিস্টারগণের আগমন ও তাদের সাথে সাক্ষাত করার ফলে প্রার্থীগণ দ্বিগুণ উৎসাহিত হচ্ছে। সিস্টারদের জীবনের সুন্দর দিকগুলোর প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে প্রার্থীদেরকে আরো দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলতে সাহায্য করছে।
উপরোক্ত ইতিবাচক দিকগুলো একজন প্রার্থীকে প্রথমত একজন খাঁটি মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে সংঘের প্রতি ভালবাসা জন্মাতে পূর্ণ সহায়তা দান করছে। তাই বলতে পারি প্রাথমিক গঠনের এই পর্যায়ে একজন প্রার্থীর মধ্যে যখন সংঘের প্রতি ভালবাসা জন্ম নেয় তখনই সে তার ​আহ্বান পূর্ণ সাড়া দিতে সক্ষম হয়।

একজন এসএমআরএ সিস্টার হওয়ার জন্য উপরোল্লিখিত এসপাইরেন্সীই হল প্রথম ধাপ। তবে এর পূর্বে এসএসসি বা এইসএসসি এমনকি তদোর্ধ পড়াশুনা সমাপ্ত করার পর এসএমআরএ সিস্টার হতে ইচ্ছুক যে কোন মেয়ে “এসো দেখে যাও প্রোগ্রামে” অংশ নিতে পারে এবং এখানে আমাদের সঙ্গে থেকে তারা নিজেদের ​আহ্বান যাচাই করতে পারে সে সুযোগ রয়েছে।  

Pictures from our Aspirency, Little Flower Candidate House 

At Preasent Vocation Promoter of SMRA Congregation

Sample text. Click to select the text box. Click again or double click to start editing the text.

SMRA Novisiate  (Postolency)