বটমলী হোম শিশু-কিশোরদের নিয়ে ৮ম আন্তর্জাতিক প্রার্থনা এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা দিবস পালন

বটমলী হোম শিশু-কিশোরদের নিয়ে ৮ম আন্তর্জাতিক প্রার্থনা এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা দিবস পালন

বটমলী হোম শিশু-কিশোরদের নিয়ে ৮ম আন্তর্জাতিক প্রার্থনা এবং

মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা দিবস পালন ।

 

বটমলী হোম শিশু-কিশোরদের নিয়ে ৮ম আন্তর্জাতিক প্রার্থনা এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা দিবস পালন

বটমলী হোম শিশু-কিশোরদের নিয়ে ৮ম আন্তর্জাতিক প্রার্থনা এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা দিবস পালন।

 

সিস্টার মেরী মিতালী, এসএমআরএ: ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ খ্রিস্টবর্ষ, খ্রিস্টমন্ডলী পালন করছে সাধ্বী যোসেফিন বাখিতার পর্বদিন। ফেব্রুয়ারী ৮, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে যোসেফিন বাখিতা মৃত্যুবরণ করেন এবং পোপ ২য় জন পল ২০০০ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে সাধ্বী শ্রেনীভূক্ত করে ফেব্রুয়ারী ৮ তারিখ তাঁর পর্বদিন বলে ঘোষণা করেন। পোপ ফ্রান্সিস ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে পর্বদিনটি প্রথমবারের মত পাচারকৃত ভাইবোনদের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রার্থনা ও সচেতনতা দিবস হিসেবে উৎসর্গ করেছেন এবং তাঁকে মানব পাচারে স্বীকার ভাইবোনদের প্রতিপালিকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস নিজেই সাধ্বী যোসেফিন বাকিতা’র মধ্যস্থতায় পাচারে শিকার হওয়া ভাইবোনদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন এবং খ্রিস্টমন্ডলীর সবাইকে প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেছেন। ফেব্রুয়ারি ৮ তারিখে ‘বটমলী হোম অর্ফানেজ’র শিশু-কিশোরদেরকে নিয়ে “৮ম আন্তর্জাতিক প্রার্থনা এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা দিবস” এবং সাধ্বী যোসেফিন বাকিতার পর্ব-মানব পাচার মুক্তি দিবস পালন করা হয়েছে । দিবসটির মূলসুর ছিল “নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনীতির অগ্রযাত্রা ও মানবপাচার দমন-ই উন্নয়নের চালিকা শক্তি।”

এদিবসটির কার্যক্রমের মধ্যে ছিল মনোগ্রামের অর্থ ব্যাখ্যা, অংকন প্রতিযোগিতা, প্রার্থনা, অনুধ্যান, গল্পবলা, সাধ্বী যোসেফিন বাখিতার জীবন আলোকপাত, তালিথা কুম সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং অংশগ্রহণকারীদের সহভাগিতা। শিশু-কিশোররা খুব সুশৃংখল পরিবেশে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে ও মনোযোগসহ অংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। সাধ্বী যোসেফিন বাকিতার জীবনী ছাত্রীদের কাছে উপস্থাপন করেন সিস্টার মেরী মিতালী এসএমআরএ। সিস্টার আন্না মারীয়া, এসএমআরএ ও সিস্টার মেরী মিতালী, এসএমআরএ দু’জন প্রার্থনা পরিচালনা করেন। সর্বমোট অংশগ্রহণকারী ছিল মোট ১৭০ জন।

মানব পাচার বন্ধের জন্য পোপ ফ্রান্সিস এর অনুপ্রেরণায় বিশ্বে প্রায় ৩০০০ ধর্মব্রতী সিস্টার সেবাকাজে অংগ্রহণ করছেন ও পাচারকৃত ভাইবোনদেরকে উদ্ধার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ভাটিকানের পুণ্য দপ্তরের অনুপ্রেরণায় সকল সম্প্রদায়ের সিস্টারদের অংশগ্রহণে “তালিথা কুম ভাটিকান” সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। একইভাবে আমাদের দেশে সিস্টারগণ “তালিথা কুম বাংলাদেশ” এর কার্যক্রম আরম্ভ করেছেন।

সংগঠনটি প্রার্থনা, সচেতনাতামূলক সেমিনার, নেটওয়ার্কং এবং মানব পাচারে স্বীকার ভাইবোনদের ও পরিবারকে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। অর্ফানেজ পরিচালিকা সিস্টার মেরী বিজয়াকে ধন্যবাদ জানাই কেননা তিনি আমাদেরকে প্রোগ্রাম করার জন্য সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি “তালিথা কুম বাংলাদেশ’ এর টিম সদস্যদের এবং প্রোগ্রাম পরিচালক শ্রদ্ধেয় ড. ফাদার লিটন হিউবার্ট গমেজ সিএসসি-কে কারণ তাদের অনুপ্রেরণায় এবং সার্বিক সহায়তায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে দিবসটি পালন সম্ভব হয়েছে।